বিদেশি রেফারি আনতে এক কোটি টাকা বাজেট পরিকল্পনা করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বেশ কিছু রেফারির সঙ্গে কথাও হয়েছে তার।
নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবের বিপক্ষে বাঁশিতে ফুঁ দেন ঘরোয়া ফুটবলের রেফারিরা। এই অপবাদ হর-হামেশায় শোনা যায়। তবে নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে কতটা স্বচ্ছ থাকতে পারছেন রেফারিরা। সেটা বিপিএলের প্রায় প্রতি ম্যাচেই রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় বোঝা যায়। রেফারিরাও ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।
এসব সমালোচনার পর রেফারিদের সঙ্গেও বসেছেন বাফুফের সভাপতি।
মাত্র ১০ জন রেফারি দিয়ে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে পুরো বিপিএল চালানোর নজির আছে কেবল বাংলাদেশেই। ম্যাচ প্রতি মাত্র ২৪০০ টাকা বেতনে কাজ করা রেফারিরা খরচ বাড়তি ঝুঁকি নেন। সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে মাঠেও। নানা বিতর্কের অবসান দিয়ে অবশেষে বিদেশি রেফারি পেতে যাচ্ছে দেশের ঘরোয়া ফুটবল।
বিপিএলের দ্বিতীয় লিগ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গুলোতে থাকতে পারে বিদেশি রেফারি। তবে শুধু বিদেশি কোচ এনে ঘরোয়া ফুটবলের রেফারিংয়ে মান উন্নয়ন নয়, দেশি কোচদের দক্ষতা বাড়ানো নিয়ে কাজ করছেন রেফারিজ কমিটির হেড সালাম মুর্শেদী।
এদিকে লো র্যাঙ্কিংয়ের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে আগ্রহ হারাচ্ছে উপরের দিকের দল। ফিফা উইন্ডোতে বাফুফের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হলেও বিভিন্ন অযুহাতে তা প্রত্যাখ্যান করছে ভালো অবস্থানে থাকা দেশগুলো। বড় দেশগুলো অনীহা জানানোয় বাধ্য হয়েই র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দলগুলোর সঙ্গে খেলছে বাংলাদেশ এমনটি জানাচ্ছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। যদিও বিষয়টিকে এমন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে নারাজ ফুটবল ফেডারেশন।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, ‘ভালো দলগুলোর সঙ্গে খেলার স্পৃহা আমাদের সব সময় থাকে। তবে র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দল হওয়ায় বড় দেশগুলো খেলতে অনীহা প্রকাশ করে।’
আসছে মার্চ উইন্ডোতে ফ্রেন্ডলি খেলতে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরকে প্রস্তাব করেছিলো বাফুফে। তাতে মালয়েশিয়া প্রায় রাজিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সিঙ্গাপুর তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বাতিলের খাতায় পড়ে বাংলাদেশের নাম।
শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সুবিধা নিয়েছে মালদ্বীপ। ২২ মার্চ মালদ্বীপের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়বে জামাল ভূঁইয়ারা।