এই মাত্র এই মাত্র পাওয়া ধর্ম ও জীবন স্বাস্থ্য

সাবধান, এই ৫ কারণে বাড়ে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি

নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন স্তন ক্যানসারে। তবে নারীদের মধ্যেই এ রোগ বেশি দেখা যায়।

ভারতে প্রতি দুজন স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। বয়স নির্বিশেষে নারী ও পুরুষের শরীরে দেখা দিতে পারে স্তন ক্যানসার। স্তন ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা পড়লে রোগ নিরাময়ের সুযোগ থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই অনেক পরে গিয়ে ধরা পড়ে। তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। বেহিসাবি জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, প্রাত্যাহিক বিভিন্ন বদ অভ্যাসের কারণ গ্রাস করে এ মারণরোগ। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যে পাঁচ কারণে স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি:

১) বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা: শরীরে অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ। বিভিন্ন কারণে ওজন বাড়তে পারে। বাইরের তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তার মধ্যে অন্যতম। শরীরে ওজন বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা তাই জরুরি। তার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সুস্থ জীবনযাপন মেনে চলা। যথা সম্ভব বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

২) নিয়ম করে শরীরচর্চা না করা: দৈনন্দিন জীবনযাপনে সুস্থ থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করার কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শুধু ক্যানসার নয়, অন্যান্য অনেক রোগেরও আশঙ্কা কমায়। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে প্রতি দিন অন্তত প্রায় ঘণ্টাখানেক ব্যায়াম, যোগাসন, প্রাণায়াম করা প্রয়োজন।

৩) নিয়মিত মদ্যপান: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন মদ্যপানে। দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপানের অভ্যাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়।

৪) ধূমপানের অভ্যাস: ক্যানসার প্রতিরোধে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার বিকল্প কিছু নেই। স্তন ক্যানসার হোক বা ফুসফুস— মাত্রাতিরিক্ত তামাক, অ্যালকোহলের প্রভাবেই মূলত এ ধরনের মারণব্যাধির শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিনের এ অভ্যাস এখন ত্যাগ করলে ক্ষতি পূরণ করা যাবে- এমন নয়। তবে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা আর বাড়তে পারে না।

৫) রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসা: ত্বকের যত্ন নিতে, রূপটান করতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজার চলতি নামিদামি প্রসাধনীর ওপর। এ প্রসাধন সামগ্রীগুলোর রং, রূপ, গন্ধ বৃদ্ধি করতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। যেগুলো একেবারেই ত্বকের জন্য ভালো নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এ রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে শরীরের অন্দরে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক উপাদানগুলো। নিঃশব্দে বাড়তে থাকে ত্বকের ক্যানসার, স্তন ক্যানসারে আশঙ্কা।
সূত্র: আনন্দবাজার

Related posts

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৫০০ ছাড়ালো

Mims 24 : Powered by information

আরো ছয় মাস ভোগাতে পারে মহামারি

razzak

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় সরকার: মিয়ানমার ঘুরে এসে প্রতিনিধিদল

Mims 24 : Powered by information

Leave a Comment

Translate »