রুশ রকেট হামলায় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহর মাইকোলাইভের আঞ্চলিক প্রশাসনিক ভবনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় গভর্নর ভিটালি কিম বলেছেন, এতে ১২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
একটি ছবিতে প্রশাসনিক বিল্ডিংয়ের পাশে একটি বড় গর্ত দেখা গেছে। গভর্নর কিম অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী হামলার আগে ভবনটিতে লোকজনের কাজ করতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল। তারপরে ভবনটিকে নিশানা করা হয়। তিনি আরও দাবি করেন, অল্পের জন্য তিনি বেঁচে গেছেন। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দূর থেকে ধ্বংসলীলা দেখেছেন। হামলার পরে অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিল। বর্তমানে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
এদিকে, রুশ অভিযানে রাজধানী কিয়েভ এবং এর উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে সেনা অভিযানের তীব্রতা কমানোর জন্য একমত হয়েছে দুই দেশ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসে এ সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো-কিয়েভ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এক মাসের বেশি সময় ধরা চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।
রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্দার ফোমিন বলেন, সংকট সমাধানে চলমান আলোচনায় আস্থা তৈরি এবং পরবর্তী সমঝোতার পথ তৈরির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা জানান, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে অবস্থান গ্রহণ করতে তারা রাজি আছেন। সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।