অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইউরোপ যাওয়ার যাওয়ার সময় ৩২ বাংলাদেশিসহ ৮১ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী।
শনিবার (১৪ মে) তাদের উদ্ধার করা হয়। খবর এএফপির
তিউনিসিয়ার নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশি ছাড়াও উদ্ধারকৃতদের মধ্যে মিসর, সুদান ও মরক্কোর নাগরিক রয়েছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৩৮ জন মিসরের, ৩২ জন বাংলাদেশের, ১০ জন সুদানের ও একজন মরক্কোর নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছর। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
তিউনিসিয়ার উত্তর–পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরবর্তী লিবিয়ার আবু কামাশ গ্রাম থেকে যাত্রা করেন ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
তারা যে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগরে যাত্রা করেছিলেন, সেটি সমুদ্রযাত্রার জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে যাত্রাপথে নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপ ১৩০ কিলোমিটার দূরে। ফলে এই পথ মানব পাচারের জন্য বহুল ব্যবহৃত। এ ছাড়া লিবিয়া থেকে ইতালির উপকূলে পাড়ি জমানোর পথটি মানব পাচারের জন্য জনপ্রিয়।
নিরাপত্তাপ্রদানকারী একটি সূত্র জানায়, এই দুই পথেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে হয়। গত মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় ৫৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এএফপির আলোকচিত্রী জানান, গ্রেফতারদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগরে প্রায় দুই হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪০১।
ভূমধ্যসাগর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একটি মরণযাত্রার পথ। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই এ পথ পাড়ি দিতে পা বাড়ায়।