একদিকে চলছে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন, অন্যদিকে লিসবনের কনফারেন্স ভেন্যুর বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ওশান অ্যাকটিভিস্টরা। শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে দূষণসহ খনিজ আহরণের নামে সমুদ্রকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো দাবি জানান তারা।
ভেতরে আলোচনার টেবিলে বসেছেন বিশ্বের ১২০ দেশের প্রতিনিধি। বাইরে চলছে ওশান অ্যাকটিভিস্টদের বিক্ষোভ। কেউ এসেছেন তিমির সাজে আবার কেউ সার্ফারের বেশে। সাগর রক্ষার নানা স্লোগানে মুখর লিসবনের আলটিস এরেনা বা এবারের জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন ভেন্যুর আশপাশ।
নাচ-গান, র্যালি বা নানা সাজের নানা ভঙ্গিতে দূষণসহ নানা কারণে হুমকিতে থাকা সাগর রক্ষার আহ্বান তাদের। প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহ দূষণ রোধ, খনিজ আহরণের নামে গভীর সমুদ্রে ভারী যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধসহ মৎস্য আহরণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের কাছে জোর দাবি জানান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক ওশান অ্যাকটিভিস্ট।
একজন বলেন, ‘অনেক হয়েছে। সমুদ্রের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা হোক। সমুদ্র আমাদের মায়ের মতো। হাজার বছর ধরে সমুদ্র আমাদের দিতে দিতে ক্লান্ত। এবার তাদের একটু একা থাকতে দেয়া হোক। খনিজ আহরণের নামে গভীর সমুদ্রে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করা হোক।’
আরেকজন বলেন, ‘শুধু আলোচনাই চলছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই। প্লিজ, দ্রুত বৈশ্বিক মহাসাগর চুক্তি সই করুন। আশা করব, আগস্টেই নিউইয়র্কে এই চুক্তি আপনারা স্বাক্ষর করবেন এবং সাগর-মহাসাগর রক্ষায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবেন।’
মাছ ধরার নামে ফাঁদ ফেলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী হত্যা বন্ধের আহ্বানও জানানো হয় বিক্ষোভ থেকে। তা ছাড়া বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির তিমিসহ সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো দাবি জানান তারা।