অর্থ আত্মসাতের মামলায় আটক হওয়া পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক ও পি কে হালদারের সহযোগী খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে দুই মেয়ের পরিবারের চার সদস্যের পাসপোর্ট ও দুই সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার পর তাঁদের র্যাব হেফাজত থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে ঐদিন ভোরে রাজধানীর ধানমণ্ডি ও শ্যামলী থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই বোন শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর দুপুরে র্যাব তাদের হাইকোর্টে হাজির করে।
গ্রেফতারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী খবির উদ্দিন পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালে খবির উদ্দিন নিজে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার দুজন তাদের বাবা সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নেয়। শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে কানাডায় আছেন শারমিন ও তানিয়া। তারা গত ২৮ জুলাই কানাডা থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং নিজেদের লুকিয়ে রাখেন। তারপর গোপনে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগের আগে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব, কারণ তাদের নামে আগে থেকেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। তিনি দেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ দখলদার ও খেলাপিদের মধ্যে অন্যতম একজন। গত ১৪ মে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পলাতক পিকে হালদার ভারতে গ্রেফতার হন।