বিদেশিদের আবাসিক সম্পত্তি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা সরকার। নতুন বছর ২০২৩ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে বাড়ির দাম আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়জানায়, নতুন এ আইনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দুই বছরের জন্য বাড়ি কেনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, বিদেশি বাড়ি ক্রেতাদের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও এক বছরের মধ্যে যারা বাড়ি বিক্রি করবেন, তাদের ওপর উচ্চ করারোপ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কানাডায়। যদিও স্থায়ী বাসিন্দা ও বিদেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পার্টির ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ‘কানাডার বাড়িগুলো মুনাফাখোর, ধনী কর্পোরেশন ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। যা আকাশছোঁয়া দামের বাস্তব সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। বলা হয়, বাড়িগুলো মানুষের জন্য, বিনিয়োগকারীদের জন্য নয়।’
গত ২৩ জুন কানাডার পার্লামেন্ট প্রহিবিশন অন দ্য পারচেজ অফ রেসিডেনশিয়াল প্রপার্টি বাই নন-কানাডিয়ানস অ্যাক্ট পাশ করে। আর ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আইনটি কার্যকর হয়। আগামী দুই বছর এ আইন বলবত থাকবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কানাডার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের আবাসন সম্পদ কেনায় সহযোগিতা করলে চড়া অর্থদণ্ড দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডায় বিদেশিদের বাড়ির মালিকানা পাঁচ শতাংশেরও কম। তাই সরকারের নিষেধাজ্ঞা তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। এজন্য বাড়ির চাহিদা মেটাতে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে বরং আরও আবাসন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তারা।
কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং কর্পোরেশন, জাতীয় আবাসন সংস্থা – জুনের একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে কানাডায় প্রায় ১৯মিলিয়ন হাউজিং ইউনিট প্রয়োজন হবে। এর অর্থ হল ৫.৮ মিলিয়ন নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে, যা বর্তমানে নির্মিত হওয়া বাড়ির অনুপাতের চেয়ে ৩.৫ মিলিয়ন বেশি।