ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরে শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা দল। সেই বিশ্বকাপজয়ী দলকে বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ সফল হতে চলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে জুনে ঢাকায় আসছে লিওনেল মেসির বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা।
কাতার বিশ্বকাপের এবারের আসরে আার্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের এক মধুর সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে মেসিদের বিপুল সমর্থন পুরো আর্জেন্টিনাবাসীকেই চমকে দিয়েছে। এরপর আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের অফিসিয়াল পেজ থেকে বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানানো হয়।
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিরোপাজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠায়। সেই বার্তার উত্তরও দেন দেশটির ফুটবল সভাপতি আলবার্তো ফার্নান্দেস। এরপর দুদেশে অ্যাম্বাসী খোলার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।
এদিকে বিশ্বকাপজয়ী দলকে বাংলাদেশেন আনার জন্য চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বাংলাদেশের দেয়া নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে মেসিরা। চলতি বছরের জুন মাসেই লাল-সবুজের দেশটিতে আসছেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার প্রস্তাবিত সফর। কিছু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন নিয়ে আলোচনা চলছে। জুনের ফিফা উইন্ডোতে আসতে চায় বলে আমাদের জানিয়েছে তারা। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনে সমস্যা না হলে আগামী জুনে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আসবে, এটা বলাই যায়।’
বাংলাদেশে মেসিদের প্রতিপক্ষও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে আলোচনার প্রতিপক্ষ হিসেবে কয়েকটি দেশের নাম বাংলাদেশ দেবে আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে একটি দল চূড়ান্ত করা হবে। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘তাদের কোচের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকটি দেশের নাম আমাদের দেবে আর্জেন্টিনা। এরপর আমরা নামগুলো নিয়ে কাজ করে একটি দেশ ঠিক করবো।’
এর আগে ২০১১ সালে মেসির দল ঢাকায় এসেছিল এবং সেই প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে হারিয়েছিল নাইজেরিয়াকে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও ওই ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি লিওনেল মেসি। তবে চার জনকে কাটিয়ে দারুন এক ‘মুভ’ উপহার দিয়েছিলেন। আর এবার তিনি আসছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক হিসাবে।
২০১১ সালের ওই ম্যাচটি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হয়েছিল। এবারও এই মাঠেই মেসিদের ম্যাচটি আয়োজন করতে চায় বাফুফে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলছে। তাই ঘরোয়া ফুটবলের খেলাও হচ্ছে অন্যত্র।
তবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আশ্বস্ত করেছেন, ‘আর্জেন্টিনা আসার আগেই আমরা মাঠ প্রস্তুত করে দেবো। আশা করি তার আগেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম খেলার উপযোগী হয়ে যাবে।’