আন্তর্জাতিক এই মাত্র এই মাত্র পাওয়া ব্রেকিং ব্রেকিং নিউজ রাজনীতি

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি (এএপি)’র প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে গ্রেপ্তার করেছে ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন অবস্থায় গ্রেপ্তার হলেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির রাজনীতিতে এমন নাটকীয় ঘটনা দেখা গেলো।

বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কেজরিওয়ালের বাড়িতে যাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তল্লাশি অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়েই কেজরিওয়ালের বাড়িতে প্রবেশ করে ইডির ১২ কর্মকর্তার দল। সেখানে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন ইডির কর্মকর্তারা।

এ সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। আশপাশে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে দিল্লিতে ইডির কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

আম আদমি পার্টি (এএপি) জানিয়েছে, গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। এছাড়া তিনি জেল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সব দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেত্রী অতিশি মারলেনা সিং। তিনি বলেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আছেন এবং থাকবেন।

তবে কারাগার সূত্র জানিয়েছে, কারাগার থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার কোন নজির নেই। জেল ম্যানুয়ালে এর কোন উল্লেখ নেই এবং জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।

এএপি নেত্রী অতিশি আরও বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা একটি ষড়যন্ত্র। কেজরিওয়াল শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নয়, তিনি চিন্তাধারা। যদি মনে করেন একজন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে এই চিন্তাধারা বন্ধ করে দিতে পারবেন, তাহলে আপনি ভুল করছেন।

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের এই অভিযোগ আনা হয় দিল্লি সরকারের ২০২১–২২ সালের আবগারি নীতি ঘিরে। অভিযোগ ওঠে, ওই নীতিতে বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য ওই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। তদন্ত সংস্থা ইডির অভিযোগ, এই নীতি করে আম আদমি পার্টির নেতারা ১০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন।

এ মামলায় এর আগে দলটির নেতা মনীশ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিংহকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ মামলায় গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানার বিআরএস নেতা কে কবিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইডির অভিযোগ, এসব রাজনীতিবিদ ও কিছু ব্যবসায়ী মিলে যোগসাজশ করে ওই আবগারি নীতি করেছিলেন। তাতে কিছু ব্যবসায়ী সুবিধা পান এবং তার একটি অংশ রাজনীতিবিদদের হাতে যায়। তাঁরা সবাই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

Related posts

ট্রাক চালিয়ে পোল্যান্ডের পথে ক্যামেরন

razzak

নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু

razzak

পেঁপে খেলে যাদের বিপদ হতে পারে

razzak

Leave a Comment

Translate »