ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ইসরায়েলকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী ২০২৪) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আইসিজে এই আদেশ দেন।
আন্তর্জাতিক আদালত ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার নির্দেশ দিলেও কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির আদেশ দেননি।
ইসরায়েল গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে তার ক্ষমতার মধ্যে থাকা সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ পালনের জন্য কী করছে, তা এক মাসের মধ্যে আইসিজেকে জানাতেও দেশটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৭ বিচারকের এ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বলেছে, গাজা অভিযানে ইসরায়েলের বাহিনী যাতে গণহত্যার মত কিছু না ঘটায়, দেশটিকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
গতবছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজা উপত্যকায় ২৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে গত বছরের ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিজেতে দুই দিনের শুনানি হয়। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি। তবে ইসরায়েলকে গণহত্যা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় আইসিজে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এক বিবৃতিতে একে ‘যুগান্তকারী রায়’ বলে অভিহিত করেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পানডর আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, যুদ্ধবিরতি ছাড়া আদালতের আদেশ বাস্তবে কাজ করবে না। তবে আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট।