দুর্নীতির অপরাধে বিচারের মুখোমুখি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। দেশটির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে জেরুজালেমের একটি আদালতে পুনরায় তার বিচার শুরু হয়েছে। তবে আদলতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। গত বছর পৃথক তিনটি মামলায় জালিয়াতি, বিশ্বাস ভঙ্গ এবং ঘুষ গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি ইসরায়েলে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সপ্তাহে একদিন তারা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা এই অভিযোগের কারণে তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
সোমবারের শুনানিতে নেতানিয়াহু দোষী নয় বলে আবেদন করে একটি লিখিত বিবৃতি জমা দেন তার আইনজীবীরা। এরপরে তারা প্রক্রিয়াগত কারণে মামলাগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল লিখিতভাবে তদন্তকে যথাযথভাবে অনুমোদন করেননি। শুনানি চলাকালে প্রায় ২০ মিনিট পরে নেতানিয়াহু কোর্টরুম থেকে বের হয়ে চলে যান।
শুনানি তার (নেতানিয়াহুর) অনুপস্থিতিতে চলতে থাকে। এই মামলার শুনানিতে সংবিধানের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি বলে বিতর্ক করেন তার আইনজীবীরা। পরে প্রসিকিউটশন সেই যুক্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করে বলে, অ্যাটর্নি জেনারেল কয়েক ডজন সভায় তদন্তকে অনুমোদন দিয়েছিল।
আদালতের বাইরে প্রায় দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারী জড়ো হন। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে আদলতের সামনে হাজির হন।
শ্যারন সাগি নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা একটি নতুন সরকার চাই। এক স্বচ্ছ সরকার চাই যেখানে কোনো দুর্নীতি থাকবে না। এক বিক্ষোভকারী এপিকে বলেন, আমরা ‘বিবি নেতানিয়াহু’কে চাই না। আমরা চাই নেতানিয়াহু পদত্যাগ করুক। তাকে পদত্যাগ করতে হবে।