খেলার সংবাদ: সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন বহুদিন বাদে। অনেক দিন পর দলটাকে দেখে ঠিক ‘পূর্ণশক্তির’ মনে হচ্ছিলো। এই জন নেই, ওই জন নেই হাহাকারও ছিল না। এমনিতেও বাংলাদেশ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার চেয়ে। প্রত্যাশা তাই স্বভাবতই ছিল বেশি।
মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতে বিপদে পড়া শ্রীলংকা হাসারাঙ্গা ডি সিলভার ব্যাটে যে হঠাৎ-ই গর্জে ওঠল! একটা সময় জয়ের জন্য শ্রীলংকার প্রয়োজন ছিল ৪২ বলে ৫৩ রান। হাসারাঙ্গা তখন ৭০ রানে অপরাজিত। আধুনিক ওয়ানডেতে এমন সমীকরণ থেকে ম্যাচ জেতা কঠিন নয়। তবে গর্জে ওঠা হাসারাঙ্গাকে সেখনেই থামিয়ে বাংলাদেশই প্রত্যাশিত জয়টা পেয়েছে।
রোববার (২৩ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলংকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল তামিম ইকবালের দল।
বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। নেতৃত্ব দিয়েছেন আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজ। শ্রীলংকার ৩০ রানের ওপেনিং জুটির পর প্রথম আঘাত হানেন মিরাজ। বোলারের পাশ দিয়ে খেলে সিঙ্গেল নিতে চাওয়া ধানুশকা গুনাথিলাকা ক্যাচ তুলে দেন বোলার মিরাজের হাতেই। একটু পর মোস্তাফিজুর রহমানকে পুল করতে গিয়ে ব্যর্থ হন পাথুম নিশাঙ্কা। ব্যাটে-বলে না করতে পেরে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এরপর কুশল মেন্ডিজকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক কুশল পেরেরা। সাকিব আল হাসান বড় হতে দেননি এই জুটিকে। কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে স্বীকৃত ক্রিকেটে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব। এরপর আট রানের ব্যবধানে কুশল পেরেরা (৩০), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৯) ও আসেন বান্দারকে (৩) ফিরিয়ে শ্রীলংকার কোমড় ভেঙে দেন মিরাজ। তিনজনকেই বোল্ড করেছেন ডানহাতি স্পিনার।
শ্রীলংকার দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন যখন দাশুন শানাকাকে বোল্ড করলেন তখন মনে হচ্ছিল এই বুঝি ম্যাচ শেষ হলো। শানাকা আউট হওয়ার মধ্যমে শ্রীলংকা হারায় যে সপ্তম উইকেট। কিন্তু লংকানদের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধটা দেখা গেল তারপরই।
পেসার ইসুরু উদানাকে নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে রীতিমতো ঝড় তুললেন হাসারাঙ্গা। অষ্টম উইকেটে ৫৯ বলে ৬২ রান তোলেন দুজন। শেষ দিকে ম্যাচ বেশ জমে উঠে। মোস্তাফিজুর রহমান হালকা চোট নিয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন বলে বাংলাদেশের শঙ্কাটা আরও বাড়ছিল। সেই মোস্তাফিজই মাঠে ফিরে শ্রীলংকার লেজ গুটিয়েছেন।